ঢাকা ০৫:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
দক্ষিণ চট্টগ্রামের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান

কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উন্মোচন করলেন ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০১:১৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে

দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন, কালুরঘাট সেতুর নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের সার্কিট হাউস থেকে এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ফলক উন্মোচন করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

এই অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, বর্তমানে যে সেতুটি রয়েছে, সেটি ১৯৩১ সালে নির্মিত। এর মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে।

নতুন এই সেতুটি দক্ষিণ চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে। এটি শুধু বোয়ালখালী নয়, সমগ্র দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল।

এই সেতুটি নির্মাণে আনুমানিক ৬ হাজার ৩শ ৪৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এই সেতুটি হবে রেল ও সড়ক সেতু। যার দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৭ দশমিক ৮২ কিলোমিটার।

এই প্রকল্পে রেলওয়ে অংশের দৈর্ঘ্য হবে ৫ দশমিক ২ কিলোমিটার এবং সড়ক অংশের দৈর্ঘ্য হবে ২ দশমিক ৬২ কিলোমিটার। সেতুতে পথচারীদের হাঁটার জন্য ফুটপাতও থাকবে।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এই সেতুর উদ্বোধন ঘোষণা করে বলেন, “কালুরঘাট ব্রিজের সাথে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এই সেতুর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম।

আজ এখানে বোয়ালখালীর বাসিন্দারাও উপস্থিত আছেন, যারা এই সেতুর জন্য দীর্ঘ দিন ধরে অপেক্ষা করছেন। সেতুটি নির্মিত হলে চট্টগ্রামবাসীর বহু কষ্টের অবসান হবে।”

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, ২০৩০ সালে এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এই সেতুটি নির্মিত হলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্থনীতি এবং সামাজিক জীবনে ব্যাপক উন্নতি সাধিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের এটি প্রথম চট্টগ্রাম সফর। এই সফরের মাধ্যমে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের মনে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

দক্ষিণ চট্টগ্রামের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান

কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উন্মোচন করলেন ইউনূস

আপডেট সময় ০১:১৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন, কালুরঘাট সেতুর নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের সার্কিট হাউস থেকে এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ফলক উন্মোচন করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

এই অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, বর্তমানে যে সেতুটি রয়েছে, সেটি ১৯৩১ সালে নির্মিত। এর মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে।

নতুন এই সেতুটি দক্ষিণ চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে। এটি শুধু বোয়ালখালী নয়, সমগ্র দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল।

এই সেতুটি নির্মাণে আনুমানিক ৬ হাজার ৩শ ৪৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এই সেতুটি হবে রেল ও সড়ক সেতু। যার দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৭ দশমিক ৮২ কিলোমিটার।

এই প্রকল্পে রেলওয়ে অংশের দৈর্ঘ্য হবে ৫ দশমিক ২ কিলোমিটার এবং সড়ক অংশের দৈর্ঘ্য হবে ২ দশমিক ৬২ কিলোমিটার। সেতুতে পথচারীদের হাঁটার জন্য ফুটপাতও থাকবে।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এই সেতুর উদ্বোধন ঘোষণা করে বলেন, “কালুরঘাট ব্রিজের সাথে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এই সেতুর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম।

আজ এখানে বোয়ালখালীর বাসিন্দারাও উপস্থিত আছেন, যারা এই সেতুর জন্য দীর্ঘ দিন ধরে অপেক্ষা করছেন। সেতুটি নির্মিত হলে চট্টগ্রামবাসীর বহু কষ্টের অবসান হবে।”

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, ২০৩০ সালে এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এই সেতুটি নির্মিত হলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্থনীতি এবং সামাজিক জীবনে ব্যাপক উন্নতি সাধিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের এটি প্রথম চট্টগ্রাম সফর। এই সফরের মাধ্যমে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের মনে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে।