ঢাকা ০৫:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০২:১৪:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / ২৫১ বার পড়া হয়েছে

বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তারা বিষয়টি অবগত আছে।

মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চান।

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-মুখপাত্র টমি পিগট স্পষ্ট ভাষায় জানান, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না।

তবে, তারা একটি মুক্ত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে।

টমি পিগট আরও বলেন, “আমরা অবগত আছি যে, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছে, যতক্ষণ না দলটির বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের রায় আসে।

আমরা বাংলাদেশের কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। আমরা একটি অবাধ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং সকলের জন্য ন্যায্য ও স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়াকে সমর্থন করি।

আমরা সকল দেশের প্রতি, যার মধ্যে বাংলাদেশও অন্তর্ভুক্ত, মত প্রকাশ, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং সংগঠন করার স্বাধীনতা রক্ষার আহ্বান জানাই।”

একই ব্রিফিংয়ে অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ওই সাংবাদিক অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার যেভাবে উগ্র মতাদর্শ ও সন্ত্রাসবাদকে উস্কে দিচ্ছে, সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মতামত কী?

তিনি আরও দাবি করেন, বাংলাদেশ সরকারের একজন উপদেষ্টার সঙ্গে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়্যবার বৈঠক হয়েছে এবং বাংলাদেশে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে সহিংসতা সৃষ্টিকারী রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের সমর্থন বাড়ছে।

এমনকি এই বৈঠকটি বাংলাদেশ সরকারের একটি মন্ত্রণালয়ে হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।

এই অভিযোগের উত্তরে টমি পিগট বলেন, “আমি পূর্বের প্রশ্নের উত্তরে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছি এবং সেটিই পুনর্ব্যক্ত করতে চাই।

আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের অংশীদারিত্বকে মূল্য দেই। আমরা এই অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে আগ্রহী এবং সেই লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গেও কাজ করে যাচ্ছি। এই বিষয়ে আমার আগের বক্তব্যই যথেষ্ট।”

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় ০২:১৪:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তারা বিষয়টি অবগত আছে।

মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চান।

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-মুখপাত্র টমি পিগট স্পষ্ট ভাষায় জানান, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না।

তবে, তারা একটি মুক্ত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে।

টমি পিগট আরও বলেন, “আমরা অবগত আছি যে, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছে, যতক্ষণ না দলটির বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের রায় আসে।

আমরা বাংলাদেশের কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। আমরা একটি অবাধ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং সকলের জন্য ন্যায্য ও স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়াকে সমর্থন করি।

আমরা সকল দেশের প্রতি, যার মধ্যে বাংলাদেশও অন্তর্ভুক্ত, মত প্রকাশ, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং সংগঠন করার স্বাধীনতা রক্ষার আহ্বান জানাই।”

একই ব্রিফিংয়ে অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ওই সাংবাদিক অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার যেভাবে উগ্র মতাদর্শ ও সন্ত্রাসবাদকে উস্কে দিচ্ছে, সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মতামত কী?

তিনি আরও দাবি করেন, বাংলাদেশ সরকারের একজন উপদেষ্টার সঙ্গে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়্যবার বৈঠক হয়েছে এবং বাংলাদেশে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে সহিংসতা সৃষ্টিকারী রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের সমর্থন বাড়ছে।

এমনকি এই বৈঠকটি বাংলাদেশ সরকারের একটি মন্ত্রণালয়ে হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।

এই অভিযোগের উত্তরে টমি পিগট বলেন, “আমি পূর্বের প্রশ্নের উত্তরে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছি এবং সেটিই পুনর্ব্যক্ত করতে চাই।

আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের অংশীদারিত্বকে মূল্য দেই। আমরা এই অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে আগ্রহী এবং সেই লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গেও কাজ করে যাচ্ছি। এই বিষয়ে আমার আগের বক্তব্যই যথেষ্ট।”