সরকারের ব্যাংকঋণ ১১ মাসে ১ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল

- আপডেট সময় ০১:১৬:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
- / ২৫৭ বার পড়া হয়েছে
চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে সরকার তফসিলি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা। এই পরিমাণ গত অর্থবছরের তুলনায় ৫৭ শতাংশ বেশি। তবে নিট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার ১১৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন বলছে, এই অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত সরকারের মোট বকেয়া ঋণ ৪ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা। গত বছর এই সময়ে এটি ছিল ৬৮ হাজার ৭০৬ কোটি টাকা।
সরকার এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে নেওয়া ৪৯ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকার পুরনো ঋণ পরিশোধ করেছে। ফলে মোট বকেয়া ঋণ গত জুনের ১ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা থেকে কমে এখন ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এটি প্রায় ৩২ শতাংশ কম।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি, বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির ধীরগতি, এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা এর প্রধান কারণ।
দেশের অর্থনীতি এখনো কোভিড-১৯ এর প্রভাব এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে রয়েছে। এছাড়া, আমদানি-রপ্তানি খাতে চ্যালেঞ্জ এবং জ্বালানি সংকটের কারণেও সরকারের ব্যয় বেড়েছে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে সরকার প্রথমে ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছিল। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার এই লক্ষ্য কমিয়ে ৯৯ হাজার কোটি টাকা করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানিয়েছেন, ব্যাংক খাতের দুর্বলতার কারণে ঋণ আরও কমিয়ে ৯০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে সীমিত রাখার চেষ্টা চলছে।
এদিকে, আগামী ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে সরকার বাজেট ঘাটতি কমাতে ব্যাংকঋণ কমানোর পরিকল্পনা করছে। জাতীয় বাজেট ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি বছরের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। এই পরিকল্পনার মাধ্যমে সরকার অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে চায়।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বেশি ঋণ নেওয়ার ফলে ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট বাড়তে পারে, যা বেসরকারি বিনিয়োগে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তাই সরকারের জন্য এখন গুরুত্বপূর্ণ হলো রাজস্ব আদায় বাড়ানো এবং ব্যয়ের ক্ষেত্রে আরও দক্ষতা আনা।