০৬:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আলাদা শুল্ক ছাড় নীতিগত জটিলতায় আটকে যেতে পারে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৫৬:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৯ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রকে প্রায় ১০০টি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিতে আগ্রহী বাংলাদেশ। তবে, নীতি ও রেওয়াজের কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আলাদাভাবে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া সম্ভব নয়।

বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি বাড়ানোর সুযোগ করে দিতে চায় বাংলাদেশ সরকার। এ লক্ষ্যে দেশটির বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।

তবে, বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের শুল্ক কাঠামো অনুযায়ী, কোনো একটি দেশের জন্য আলাদা শুল্ক ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।

বাংলাদেশে এইচএস কোড ধরে শুল্কহার নির্ধারিত হয়। কোনো একটি দেশের জন্য আলাদা শুল্কহার নির্ধারণের সুযোগ নেই। কোনো পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া হলে, এইচএস কোড অনুসারে সব দেশই সেই সুবিধা পাবে। উদাহরণস্বরূপ, গাড়ি আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া হলে, যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশ থেকেই বিনা শুল্কে গাড়ি আমদানি করা যাবে।

বর্তমানে ট্যারিফলাইনে ৭ হাজার ১৫৯টি পণ্য রয়েছে। বিভিন্ন পণ্যের ওপর বিভিন্ন হারে আমদানি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, ভ্যাট ও অগ্রিম কর আরোপিত হয়। খাদ্যপণ্যসহ অত্যাবশ্যকীয় ও জীবন রক্ষাকারী ৩২৯টি পণ্য আমদানিতে কোনো শুল্ক নেই।

২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৯১ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ২৬২ কোটি ডলারের পণ্য অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য আনা হয়েছে। আমদানি করা পণ্যের মধ্যে পুরোনো লোহার টুকরা, এলপিজির উপাদান বিউটেন, সয়াবিন বীজ, তুলা, উড়োজাহাজের ইঞ্জিন, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস, হুইস্কি, গাড়ি, গম, উড পাল্প, পুরোনো জাহাজ, সয়াকেক, কাঠবাদাম ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের ওপর গড়ে ৬ শতাংশের কিছুটা বেশি শুল্ক আরোপিত হয়।

বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া পণ্যের মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি তৈরি পোশাক। অন্যান্য পণ্যের মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাতীয় পণ্য, ওষুধ, প্লাস্টিক ও মনোহারি পণ্য উল্লেখযোগ্য।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আলাদা শুল্ক ছাড় নীতিগত জটিলতায় আটকে যেতে পারে

আপডেট সময় ০৯:৫৬:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রকে প্রায় ১০০টি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিতে আগ্রহী বাংলাদেশ। তবে, নীতি ও রেওয়াজের কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আলাদাভাবে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া সম্ভব নয়।

বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি বাড়ানোর সুযোগ করে দিতে চায় বাংলাদেশ সরকার। এ লক্ষ্যে দেশটির বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।

তবে, বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের শুল্ক কাঠামো অনুযায়ী, কোনো একটি দেশের জন্য আলাদা শুল্ক ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।

বাংলাদেশে এইচএস কোড ধরে শুল্কহার নির্ধারিত হয়। কোনো একটি দেশের জন্য আলাদা শুল্কহার নির্ধারণের সুযোগ নেই। কোনো পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া হলে, এইচএস কোড অনুসারে সব দেশই সেই সুবিধা পাবে। উদাহরণস্বরূপ, গাড়ি আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া হলে, যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশ থেকেই বিনা শুল্কে গাড়ি আমদানি করা যাবে।

বর্তমানে ট্যারিফলাইনে ৭ হাজার ১৫৯টি পণ্য রয়েছে। বিভিন্ন পণ্যের ওপর বিভিন্ন হারে আমদানি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, ভ্যাট ও অগ্রিম কর আরোপিত হয়। খাদ্যপণ্যসহ অত্যাবশ্যকীয় ও জীবন রক্ষাকারী ৩২৯টি পণ্য আমদানিতে কোনো শুল্ক নেই।

২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৯১ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ২৬২ কোটি ডলারের পণ্য অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য আনা হয়েছে। আমদানি করা পণ্যের মধ্যে পুরোনো লোহার টুকরা, এলপিজির উপাদান বিউটেন, সয়াবিন বীজ, তুলা, উড়োজাহাজের ইঞ্জিন, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস, হুইস্কি, গাড়ি, গম, উড পাল্প, পুরোনো জাহাজ, সয়াকেক, কাঠবাদাম ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের ওপর গড়ে ৬ শতাংশের কিছুটা বেশি শুল্ক আরোপিত হয়।

বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া পণ্যের মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি তৈরি পোশাক। অন্যান্য পণ্যের মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাতীয় পণ্য, ওষুধ, প্লাস্টিক ও মনোহারি পণ্য উল্লেখযোগ্য।