আওয়ামী লীগ হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি ১১ বছর পর গ্রেফতার

- আপডেট সময় ০৭:৫০:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
- / ২৬৩ বার পড়া হয়েছে
লক্ষ্মীপুরে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের রামপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম মো. শাহ জালাল। গ্রেফতার জালাল সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের আব্দুল হক বেপারীর ছেলে।
সদরের চরশাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান ভূঁইয়াকে ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জবাই করে হত্যার ঘটনায় তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত। ঘটনার পর ১১ বছর তিনি পলাতক ছিলেন। গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে তিনি দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নেন।
র্যাব ও মামলা সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২১ মে রাতে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মান্নানকে জবাই করে হত্যা করা হয়। রাতেই বাড়ির পাশে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনার চার দিন পর নিহতের স্ত্রী আঞ্জুম আরা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০১৫ সালের দুই জুন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তদন্ত করে আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২০ সালের ছয় ফেব্রুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শাহেনূর মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। তবে রায়ের দিন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কফিল উদ্দিন ছাড়া বাকিরা পলাতক ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন আবদুর রহমান ও মো. জয়নাল। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মো. জুলফিকার, খোরশেদ আলম, ইয়াসিন আরাফাত রাফি, মো. মুক্তার।
র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু জানান, মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব গোয়েন্দা কার্যক্রম চালায়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে জালালকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি নিজেকে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হিসেবে স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চন্দ্রগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।