ঢাকা ১১:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

নাস্তিক্যবাদের অভিযোগে টাঙ্গাইলের পাঠাগারে হামলা, শতাধিক বই লুট

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০১:৫৮:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২৬২ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার ‘অভয়ারণ্য’ পাঠাগারে হামলা চালিয়ে শতাধিক বই লুট করা হয়েছে। স্থানীয় একটি গোষ্ঠীর অভিযোগ, এই পাঠাগারে নাস্তিক্যবাদী বই রাখা হয় এবং তরুণদের বিভ্রান্ত করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার রাতে একদল লোক পাঠাগারে ঢুকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, হুমায়ুন আহমেদসহ বিখ্যাত লেখকদের বই জোর করে নিয়ে যায়।

ঘটনার আগে ইসলামী খেলাফত মজলিশের স্থানীয় নেতা গোলাম রব্বানী ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দাবি করেন, “এ পাঠাগার নাস্তিকদের আস্তানা, এখানকার বই তরুণদের নাস্তিক বানাচ্ছে।” এরপর একদল লোক পাঠাগারে ঢুকে বইগুলো বস্তায় ভরে উপজেলা প্রশাসনের অফিসে জমা দেয়। পাঠাগার কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের সংগ্রহে নিষিদ্ধ কোনো বই নেই।

পাঠাগারের সম্পাদক দুর্জয় ঘোষ বলেন, “আমরা সরকারি নিষিদ্ধ বই রাখি না। বই লুটের সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা বাধা দেয়নি।” তিনি ইতিমধ্যে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন মাহমুদ জানান, বইগুলো পরীক্ষা করে দেখবেন। রোববার উভয় পক্ষকে ডেকে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হবে।

এদিকে, গ্রাম পাঠাগার আন্দোলনের নেতা আব্দুস ছাত্তার খান এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা আজ বিকেলে উপজেলা অফিসের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন।

পুলিশ বলছে, বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে। তবে পাঠাগারটি এখনও বন্ধ রয়েছে, পাঠকরা বই পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন না।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

নাস্তিক্যবাদের অভিযোগে টাঙ্গাইলের পাঠাগারে হামলা, শতাধিক বই লুট

আপডেট সময় ০১:৫৮:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার ‘অভয়ারণ্য’ পাঠাগারে হামলা চালিয়ে শতাধিক বই লুট করা হয়েছে। স্থানীয় একটি গোষ্ঠীর অভিযোগ, এই পাঠাগারে নাস্তিক্যবাদী বই রাখা হয় এবং তরুণদের বিভ্রান্ত করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার রাতে একদল লোক পাঠাগারে ঢুকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, হুমায়ুন আহমেদসহ বিখ্যাত লেখকদের বই জোর করে নিয়ে যায়।

ঘটনার আগে ইসলামী খেলাফত মজলিশের স্থানীয় নেতা গোলাম রব্বানী ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দাবি করেন, “এ পাঠাগার নাস্তিকদের আস্তানা, এখানকার বই তরুণদের নাস্তিক বানাচ্ছে।” এরপর একদল লোক পাঠাগারে ঢুকে বইগুলো বস্তায় ভরে উপজেলা প্রশাসনের অফিসে জমা দেয়। পাঠাগার কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের সংগ্রহে নিষিদ্ধ কোনো বই নেই।

পাঠাগারের সম্পাদক দুর্জয় ঘোষ বলেন, “আমরা সরকারি নিষিদ্ধ বই রাখি না। বই লুটের সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা বাধা দেয়নি।” তিনি ইতিমধ্যে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন মাহমুদ জানান, বইগুলো পরীক্ষা করে দেখবেন। রোববার উভয় পক্ষকে ডেকে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হবে।

এদিকে, গ্রাম পাঠাগার আন্দোলনের নেতা আব্দুস ছাত্তার খান এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা আজ বিকেলে উপজেলা অফিসের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন।

পুলিশ বলছে, বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে। তবে পাঠাগারটি এখনও বন্ধ রয়েছে, পাঠকরা বই পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন না।