ঢাকা ০৫:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

পাচার করা টাকা ফেরত আনতে ‘লেয়ারিং’ প্রধান বাধা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ১২:৫৯:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / ২৫১ বার পড়া হয়েছে

বিদেশে পাচার হওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পাচারকৃত অর্থের জটিল ‘লেয়ারিং’ প্রক্রিয়াই এর প্রধান কারণ

বাংলাদেশ থেকে সরাসরি শেষ গন্তব্যে না গিয়ে বিভিন্ন হাত ঘুরে অর্থ পাচার হওয়ায়, বিদেশি কোর্টে এর উৎস প্রমাণ করা কঠিন। কোনো দেশই তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত দিতে সহজে রাজি হয় না।

পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা একটি দীর্ঘ ও জটিল আইনি প্রক্রিয়া, যেখানে ‘লেয়ারিং’ প্রধান বাধা হিসেবে কাজ করছে।

অর্থ ফেরত আনতে অন্তত পাঁচটি ধাপ পেরোতে হবে, যার মধ্যে রয়েছে অভিযুক্ত শনাক্তকরণ, ব্যাংক হিসাব জব্দ, তদন্ত, দেশীয় আদালতের রায় এবং অবশেষে বিদেশের আদালতে মামলা। তবে, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আট মাস পেরিয়ে গেলেও বেশিরভাগ তদন্ত দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপেই আটকে আছে।

বিএফআইইউ কর্মকর্তা জানান, সাত মাস বয়সী টাস্কফোর্স দেড় সহস্রাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে ২২ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ ও শেয়ার চিহ্নিত করেছে। তবে, বিএফআইইউ প্রধানের নিয়োগের পর এই প্রক্রিয়া কিছুটা ধীরগতি লাভ করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, অর্থ ফেরাতে বিদেশি ল ফার্ম নিয়োগ করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সঙ্গতি রেখে কার্যক্রম চলছে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে এক বছরের বেশি সময় লাগতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, অর্থ ফেরতের জন্য অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতি এখনও পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি।

এদিকে, বিএফআইইউ আড়াই শতাধিক তদন্ত রিপোর্ট সিআইডি ও দুদকে পাঠিয়েছে, যার মধ্যে ২০টির অডিট সম্পন্ন হয়েছে এবং মামলা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অভিযুক্তরা মূলত বিগত সরকারের আমলে অবৈধ সুবিধাভোগী। খুব শীঘ্রই বাকি রিপোর্টগুলোও পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে বিএফআইইউ।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাচার করা টাকা ফেরত আনতে ‘লেয়ারিং’ প্রধান বাধা

আপডেট সময় ১২:৫৯:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

বিদেশে পাচার হওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পাচারকৃত অর্থের জটিল ‘লেয়ারিং’ প্রক্রিয়াই এর প্রধান কারণ

বাংলাদেশ থেকে সরাসরি শেষ গন্তব্যে না গিয়ে বিভিন্ন হাত ঘুরে অর্থ পাচার হওয়ায়, বিদেশি কোর্টে এর উৎস প্রমাণ করা কঠিন। কোনো দেশই তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত দিতে সহজে রাজি হয় না।

পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা একটি দীর্ঘ ও জটিল আইনি প্রক্রিয়া, যেখানে ‘লেয়ারিং’ প্রধান বাধা হিসেবে কাজ করছে।

অর্থ ফেরত আনতে অন্তত পাঁচটি ধাপ পেরোতে হবে, যার মধ্যে রয়েছে অভিযুক্ত শনাক্তকরণ, ব্যাংক হিসাব জব্দ, তদন্ত, দেশীয় আদালতের রায় এবং অবশেষে বিদেশের আদালতে মামলা। তবে, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আট মাস পেরিয়ে গেলেও বেশিরভাগ তদন্ত দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপেই আটকে আছে।

বিএফআইইউ কর্মকর্তা জানান, সাত মাস বয়সী টাস্কফোর্স দেড় সহস্রাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে ২২ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ ও শেয়ার চিহ্নিত করেছে। তবে, বিএফআইইউ প্রধানের নিয়োগের পর এই প্রক্রিয়া কিছুটা ধীরগতি লাভ করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, অর্থ ফেরাতে বিদেশি ল ফার্ম নিয়োগ করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সঙ্গতি রেখে কার্যক্রম চলছে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে এক বছরের বেশি সময় লাগতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, অর্থ ফেরতের জন্য অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতি এখনও পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি।

এদিকে, বিএফআইইউ আড়াই শতাধিক তদন্ত রিপোর্ট সিআইডি ও দুদকে পাঠিয়েছে, যার মধ্যে ২০টির অডিট সম্পন্ন হয়েছে এবং মামলা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অভিযুক্তরা মূলত বিগত সরকারের আমলে অবৈধ সুবিধাভোগী। খুব শীঘ্রই বাকি রিপোর্টগুলোও পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে বিএফআইইউ।