ঢাকা ০৫:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আবারও দীর্ঘ ছুটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০১:০৬:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে

দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আবারও দীর্ঘ ছুটির মুখোমুখি। আগামী ১ জুন থেকে শুরু হচ্ছে ১৯ দিনের ছুটি, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে।

ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আগামী ১ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে এই ছুটি ১৯ দিন, কলেজগুলোতে ৩ থেকে ১২ জুন, এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ৩ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত চলবে। এই দীর্ঘ ছুটি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করছে বলে অভিভাবক ও শিক্ষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

২০২৫ শিক্ষাবর্ষের শুরু থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। শিক্ষাবর্ষের প্রথম দুই মাস নতুন পাঠ্যবই না পাওয়ায় কার্যকর পড়াশোনা সম্ভব হয়নি। এরপর রোজার মাসে ৪০ দিনের ছুটি, এসএসসি পরীক্ষার জন্য ক্লাস বন্ধ, এবং এখন আসন্ন ঈদ ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি—এসব মিলিয়ে শিক্ষকরা সিলেবাস শেষ করতে হিমশিম খাচ্ছেন।

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফেরদাউস জানান, পরীক্ষার ফাঁকে ফাঁকে ক্লাস নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও ‘অ্যাকটিভ ক্লাসরুম টাইম’ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

অভিভাবকরা বলছেন, দীর্ঘ ছুটিতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগ হারাচ্ছে। শহরের অভিভাবকরা সন্তানদের কোচিং সেন্টারে পাঠালেও, এতে শিক্ষার খরচ বেড়ে যাচ্ছে। গ্রামের অভিভাবকদের জন্য এই বিকল্পও নেই, ফলে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা বা অলস সময় কাটিয়ে ছুটি পার করছে। এতে তারা শিক্ষাগত দিক থেকে পিছিয়ে পড়ছে।

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম বলেন, “লম্বা ছুটিতে সিলেবাস শেষ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা চেষ্টা করছি শিক্ষার্থীদের ক্ষতি যেন না হয়।”

গত বছরের জুলাই-আগস্টে আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত অচল ছিল। এ সময় বহু শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানপ্রধানকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো হয়।

পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও শিক্ষক জোটের আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম তালুকদার জানান, ৫ আগস্টের পর তিন হাজারের বেশি শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষককে অপমান, হেনস্তা ও বাধ্যতামূলক পদত্যাগের শিকার হতে হয়েছে। এই শূন্যতা পূরণে নতুন নিয়োগ না হওয়ায় অনেক প্রতিষ্ঠানে একাডেমিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আবারও দীর্ঘ ছুটি

আপডেট সময় ০১:০৬:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আবারও দীর্ঘ ছুটির মুখোমুখি। আগামী ১ জুন থেকে শুরু হচ্ছে ১৯ দিনের ছুটি, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে।

ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আগামী ১ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে এই ছুটি ১৯ দিন, কলেজগুলোতে ৩ থেকে ১২ জুন, এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ৩ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত চলবে। এই দীর্ঘ ছুটি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করছে বলে অভিভাবক ও শিক্ষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

২০২৫ শিক্ষাবর্ষের শুরু থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। শিক্ষাবর্ষের প্রথম দুই মাস নতুন পাঠ্যবই না পাওয়ায় কার্যকর পড়াশোনা সম্ভব হয়নি। এরপর রোজার মাসে ৪০ দিনের ছুটি, এসএসসি পরীক্ষার জন্য ক্লাস বন্ধ, এবং এখন আসন্ন ঈদ ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি—এসব মিলিয়ে শিক্ষকরা সিলেবাস শেষ করতে হিমশিম খাচ্ছেন।

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফেরদাউস জানান, পরীক্ষার ফাঁকে ফাঁকে ক্লাস নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও ‘অ্যাকটিভ ক্লাসরুম টাইম’ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

অভিভাবকরা বলছেন, দীর্ঘ ছুটিতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগ হারাচ্ছে। শহরের অভিভাবকরা সন্তানদের কোচিং সেন্টারে পাঠালেও, এতে শিক্ষার খরচ বেড়ে যাচ্ছে। গ্রামের অভিভাবকদের জন্য এই বিকল্পও নেই, ফলে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা বা অলস সময় কাটিয়ে ছুটি পার করছে। এতে তারা শিক্ষাগত দিক থেকে পিছিয়ে পড়ছে।

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম বলেন, “লম্বা ছুটিতে সিলেবাস শেষ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা চেষ্টা করছি শিক্ষার্থীদের ক্ষতি যেন না হয়।”

গত বছরের জুলাই-আগস্টে আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত অচল ছিল। এ সময় বহু শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানপ্রধানকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো হয়।

পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও শিক্ষক জোটের আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম তালুকদার জানান, ৫ আগস্টের পর তিন হাজারের বেশি শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষককে অপমান, হেনস্তা ও বাধ্যতামূলক পদত্যাগের শিকার হতে হয়েছে। এই শূন্যতা পূরণে নতুন নিয়োগ না হওয়ায় অনেক প্রতিষ্ঠানে একাডেমিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে।