ঢাকা ১২:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

বাংলাদেশের রেকর্ড ২০৫ রানেও আমিরাতের কাছে নাটকীয় হার!

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৮:৩৯:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • / ২৫২ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ২০৫ রানের বিশাল স্কোর গড়েও আমিরাতের কাছে হেরে গেছে! টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের ওপেনাররা শারজাহ স্টেডিয়ামে আগুন জ্বালিয়ে দেয়!

অধিনায়ক লিটন দাস ৩২ বলে ৪০ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন, তিনটি চার ও একটি ছক্কায়। তানজিদ তামিম ৩৩ বলে ৫৯ রানে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন, আটটি চার ও তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে।

মাত্র ৯.১ ওভারে তাদের ৯০ রানের জুটি বাংলাদেশের টি-২০ ইতিহাসের চতুর্থ সর্বোচ্চ ২০৫ রানের ভিত গড়ে দেয়!

নাজমুল শান্ত ১৯ বলে ২৭ রানে দুটি চার ও একটি ছক্কা, আর তাওহীদ হৃদয় ২৪ বলে ৪৫ রানে তিনটি ছক্কা ও দুটি চার দিয়ে দলকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যান। কিন্তু এই বিশাল স্কোরও যথেষ্ট হলো না!

জবাবে আমিরাতের ওপেনাররা রীতিমতো তাণ্ডব চালায়! মোহাম্মদ ওয়াসেম ৪২ বলে ৮২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন, নয়টি চার ও পাঁচটি ছক্কায় মাঠ মাতান।

তাদের ওপেনিং জুটি ১০ ওভারে ১০৭ রান তুলে ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে। মোহাম্মদ জোহাইব ৩৪ বলে ৩৮, আসিফ খান ১২ বলে ১৯, আর আলিশান শারাফু ৯ বলে ১৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। শেষে হায়দার আলী ৬ বলে ১৫ রানে ম্যাচ শেষ করে দেন।

বাংলাদেশ মিডল ওভারে ফিরে আসার চেষ্টা করে। নাহিদ রানা ১৮তম ওভারে ৬ রান দিয়ে উইকেট নেন। শরিফুল ১৯তম ওভারে উইকেট তুললেও ১৭ রান খরচ করেন, যার মধ্যে ওভারথ্রোতে ৫ রান উপহার দেন।

শেষ ওভারে তানজিম সাকিবের কাঁধে ছিল ১২ রান আটকানোর দায়িত্ব। কিন্তু প্রথম বলে ওয়াইড, দ্বিতীয় বলে ছক্কা, আর পঞ্চম বলে নো-বল দিয়ে ম্যাচ হাতছাড়া করেন। আমিরাত এক বল বাকি থাকতে ২ উইকেটে ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে নেয়!

বাংলাদেশের পেসাররা ছিলেন খরুচে। তানজিম ৪ ওভারে ৪৩ রান, নাহিদ ৪ ওভারে ৫০ রান দেন। শরিফুল ৪ ওভারে ৩৪ রানে ২ উইকেট নেন। স্পিনাররা তুলনামূলক ভালো করেন—রিশাদ ২৮ রানে ২ উইকেট, তানভীর ৩৭ রান দেন।

এই হারে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ ১-১ সমতায়। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ আগামী ২১ মে।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশের রেকর্ড ২০৫ রানেও আমিরাতের কাছে নাটকীয় হার!

আপডেট সময় ০৮:৩৯:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

বাংলাদেশ ২০৫ রানের বিশাল স্কোর গড়েও আমিরাতের কাছে হেরে গেছে! টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের ওপেনাররা শারজাহ স্টেডিয়ামে আগুন জ্বালিয়ে দেয়!

অধিনায়ক লিটন দাস ৩২ বলে ৪০ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন, তিনটি চার ও একটি ছক্কায়। তানজিদ তামিম ৩৩ বলে ৫৯ রানে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন, আটটি চার ও তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে।

মাত্র ৯.১ ওভারে তাদের ৯০ রানের জুটি বাংলাদেশের টি-২০ ইতিহাসের চতুর্থ সর্বোচ্চ ২০৫ রানের ভিত গড়ে দেয়!

নাজমুল শান্ত ১৯ বলে ২৭ রানে দুটি চার ও একটি ছক্কা, আর তাওহীদ হৃদয় ২৪ বলে ৪৫ রানে তিনটি ছক্কা ও দুটি চার দিয়ে দলকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যান। কিন্তু এই বিশাল স্কোরও যথেষ্ট হলো না!

জবাবে আমিরাতের ওপেনাররা রীতিমতো তাণ্ডব চালায়! মোহাম্মদ ওয়াসেম ৪২ বলে ৮২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন, নয়টি চার ও পাঁচটি ছক্কায় মাঠ মাতান।

তাদের ওপেনিং জুটি ১০ ওভারে ১০৭ রান তুলে ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে। মোহাম্মদ জোহাইব ৩৪ বলে ৩৮, আসিফ খান ১২ বলে ১৯, আর আলিশান শারাফু ৯ বলে ১৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। শেষে হায়দার আলী ৬ বলে ১৫ রানে ম্যাচ শেষ করে দেন।

বাংলাদেশ মিডল ওভারে ফিরে আসার চেষ্টা করে। নাহিদ রানা ১৮তম ওভারে ৬ রান দিয়ে উইকেট নেন। শরিফুল ১৯তম ওভারে উইকেট তুললেও ১৭ রান খরচ করেন, যার মধ্যে ওভারথ্রোতে ৫ রান উপহার দেন।

শেষ ওভারে তানজিম সাকিবের কাঁধে ছিল ১২ রান আটকানোর দায়িত্ব। কিন্তু প্রথম বলে ওয়াইড, দ্বিতীয় বলে ছক্কা, আর পঞ্চম বলে নো-বল দিয়ে ম্যাচ হাতছাড়া করেন। আমিরাত এক বল বাকি থাকতে ২ উইকেটে ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে নেয়!

বাংলাদেশের পেসাররা ছিলেন খরুচে। তানজিম ৪ ওভারে ৪৩ রান, নাহিদ ৪ ওভারে ৫০ রান দেন। শরিফুল ৪ ওভারে ৩৪ রানে ২ উইকেট নেন। স্পিনাররা তুলনামূলক ভালো করেন—রিশাদ ২৮ রানে ২ উইকেট, তানভীর ৩৭ রান দেন।

এই হারে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ ১-১ সমতায়। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ আগামী ২১ মে।