ব্যাগেজ রুলে বড়সড় ধাক্কা! বছরে একবারের বেশি সোনা আনা নিষেধ!

- আপডেট সময় ১০:০৬:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
- / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে
বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের জন্য আসছে এক বড় পরিবর্তন। শোনা যাচ্ছে, সরকার ব্যাগেজ রুলের ক্ষেত্রে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে।
এতদিন শুল্ক ছাড়াই বছরে যতবার খুশি সোনা আনার সুযোগ থাকলেও, এখন থেকে তা সীমিত করে বছরে মাত্র একবার করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সাথে ১০ হাজার ডলারের বেশি বহন করলে তা একটি নির্দিষ্ট ফরমে ঘোষণা করাও বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, এই প্রস্তাবনাগুলো আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এছাড়াও, সেকেলে এবং অপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্যের আমদানি সুযোগও বাতিল করার সুপারিশ করা হয়েছে।
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, একজন যাত্রী বছরে যতবার ইচ্ছা ততবার কোনো শুল্ক ছাড়াই ১০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার অথবা ২০০ গ্রাম রুপার অলংকার আনতে পারেন।
এর বাইরে, শুল্ক পরিশোধ করে ১১৭ গ্রাম বা প্রায় ১০ ভরি সোনার বার আনারও সুযোগ রয়েছে, যেখানে প্রতি ভরিতে ৪ হাজার টাকা শুল্ক দিতে হয়।
কিন্তু নতুন প্রস্তাবনায় এই সুযোগ একেবারেই সীমিত করে বছরে মাত্র একবারের জন্য করা হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বর্তমানে একজন যাত্রী স্বর্ণালংকার ও বার মিলিয়ে প্রায় ২৫ লাখ টাকার স্বর্ণ আনতে পারেন।
তবে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি)-এর বিশেষ ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান মনে করেন, সরকারের এই পদক্ষেপ মূলত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রক্ষা এবং দেশে ডলারের প্রবাহ বৃদ্ধি করার একটি কৌশল।
তিনি মনে করেন, প্রবাসীরা স্বর্ণ না কিনে যদি নগদ ডলার দেশে পাঠান, সেটি সরকারের জন্য নিঃসন্দেহে লাভজনক হবে।
শুধু স্বর্ণের ক্ষেত্রেই নয়, ব্যাগেজ সুবিধার ক্ষেত্রে আরও কিছু পরিবর্তন আসছে। বর্তমানে স্থলবন্দর দিয়ে বছরে তিনবার সর্বোচ্চ ৪০০ ডলার পর্যন্ত শুল্কমুক্ত পণ্য আনার সুযোগ থাকলেও, সেটি কমিয়ে বছরে একবার করা হচ্ছে।
এছাড়াও, ইউ-ব্যাগেজ অর্থাৎ যাত্রীর সঙ্গে না থাকা লাগেজের ক্ষেত্রেও নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ১০০ কেজি এবং তার বেশি বয়সীদের জন্য ৪০ কেজি পর্যন্ত পণ্য আনার সুযোগ থাকছে।
পাশাপাশি, পুরনো এবং অপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্য যেমন ক্যাসেট প্লেয়ার, ডিস্কম্যান, টাইপরাইটার, ওয়াকম্যান, ফ্যাক্স মেশিন এবং ১৯ ইঞ্চি এলসিডি মনিটরের মতো পণ্যের আমদানি সুযোগ বাতিল করার সুপারিশ করা হয়েছে।
তবে কিছু প্রয়োজনীয় পণ্য এখনও শুল্ক ছাড়াই আনা যাবে। এর মধ্যে রয়েছে ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ, স্ক্যানার, প্রিন্টার, ক্যামেরা, টোস্টার, ব্লেন্ডার, প্রেসার কুকার, ২৯ ইঞ্চি পর্যন্ত টিভি এবং এক কার্টন সিগারেটসহ আরও কিছু নির্দিষ্ট পণ্য।
অন্যদিকে, ৩০ থেকে ৬৬ ইঞ্চির বেশি বড় টিভি, হোম থিয়েটার, মোবাইল সেট (দামভেদে), ফ্রিজ, এসি এবং প্রফেশনাল ক্যামেরার মতো পণ্য শুল্ক পরিশোধ করে আনা যাবে।