ঢাকা ১২:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপ

ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির পথে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৮:৪৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • / ২৫৩ বার পড়া হয়েছে

রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলমান সংঘাত নিয়ে নতুন মোড়। দীর্ঘ সময় পর ফের আলোচনার টেবিলে বসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আর এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সোমবার, হোয়াইট হাউসের কর্তা ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ফোনে কথা বলেছেন।

এই ফোনালাপের পরেই একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর সামনে এসেছে। রুশ রাষ্ট্রপ্রধান পুতিন নাকি ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন!

শুধু তাই নয়, পুতিনের সঙ্গে কথা বলার পরই ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও টেলিফোনে আলোচনা করেছেন। এরপর হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, রাশিয়া ও ইউক্রেন খুব শীঘ্রই ফের আলোচনার টেবিলে বসতে পারে।

ট্রাম্প নিজেও সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে এই আশার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেন একটি কার্যকরী যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করবে। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে ইউরোপের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গেও তিনি কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।

রুশ রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আরআইএ নভোস্তিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিন স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, তিনি একটি কার্যকর যুদ্ধবিরতি চান।

তার দেশ ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করতে প্রস্তুত, যা উভয় পক্ষের কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে। রুশ গণমাধ্যম এই আলোচনাকে অত্যন্ত স্পষ্ট এবং কার্যকর বলে উল্লেখ করেছে।

পুতিন মনে করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি কোনো সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসেন, তবে তা বিফলে যায় না।

ট্রাম্পের সঙ্গে এই আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলেও তিনি মনে করেন। ফোনালাপে ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেও ভোলেননি রুশ প্রেসিডেন্ট।

তবে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, দুই নেতার মধ্যে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির সময়সূচি নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট আলোচনা হয়নি। ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ফোনালাপে দুই নেতা মূলত ৯ জন মার্কিন নাগরিক এবং ৯ জন রুশ নাগরিকের বন্দি বিনিময় নিয়ে কথা বলেছেন।

এর আগে গত সপ্তাহে তুরস্কের মাটিতে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল শান্তি আলোচনায় বসেছিল। সেই প্রক্রিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন দূতও অংশগ্রহণ করেছিলেন। তবে সেই আলোচনা শেষ পর্যন্ত কোনো রকম চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াই ভেস্তে যায়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপ

ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির পথে

আপডেট সময় ০৮:৪৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলমান সংঘাত নিয়ে নতুন মোড়। দীর্ঘ সময় পর ফের আলোচনার টেবিলে বসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আর এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সোমবার, হোয়াইট হাউসের কর্তা ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ফোনে কথা বলেছেন।

এই ফোনালাপের পরেই একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর সামনে এসেছে। রুশ রাষ্ট্রপ্রধান পুতিন নাকি ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন!

শুধু তাই নয়, পুতিনের সঙ্গে কথা বলার পরই ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও টেলিফোনে আলোচনা করেছেন। এরপর হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, রাশিয়া ও ইউক্রেন খুব শীঘ্রই ফের আলোচনার টেবিলে বসতে পারে।

ট্রাম্প নিজেও সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে এই আশার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেন একটি কার্যকরী যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করবে। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে ইউরোপের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গেও তিনি কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।

রুশ রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আরআইএ নভোস্তিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিন স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, তিনি একটি কার্যকর যুদ্ধবিরতি চান।

তার দেশ ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করতে প্রস্তুত, যা উভয় পক্ষের কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে। রুশ গণমাধ্যম এই আলোচনাকে অত্যন্ত স্পষ্ট এবং কার্যকর বলে উল্লেখ করেছে।

পুতিন মনে করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি কোনো সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসেন, তবে তা বিফলে যায় না।

ট্রাম্পের সঙ্গে এই আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলেও তিনি মনে করেন। ফোনালাপে ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেও ভোলেননি রুশ প্রেসিডেন্ট।

তবে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, দুই নেতার মধ্যে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির সময়সূচি নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট আলোচনা হয়নি। ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ফোনালাপে দুই নেতা মূলত ৯ জন মার্কিন নাগরিক এবং ৯ জন রুশ নাগরিকের বন্দি বিনিময় নিয়ে কথা বলেছেন।

এর আগে গত সপ্তাহে তুরস্কের মাটিতে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল শান্তি আলোচনায় বসেছিল। সেই প্রক্রিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন দূতও অংশগ্রহণ করেছিলেন। তবে সেই আলোচনা শেষ পর্যন্ত কোনো রকম চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াই ভেস্তে যায়।