২১৩ রানে করতেই ৭ উইকেট নেই বাংলাদেশের। তখন মাত্র বাংলাদেশের লিড ১৩১ রান। এই রান নিয়ে তো সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়েকে আটকানো যাবে না; এমন ভাবনা থেকে দলের দায়িত্ব নেন জাকের আলী অনিক। তাকে সঙ্গ দেন হাসান মাহমুদ। অষ্টম উইকেটে হাসান মাহমুদকে নিয়ে জুটি করে লিড বড় করার সম্ভাবনা দেখান জাকের। ফিফটিও করেন তিনি।

তবে জাকের আলী অপরপ্রান্ত থেকে সহায়তা না পাওয়ায় দলকে বেশি এগিয়ে নিতে পারেননি । দ্বিতীয় ইনিংসে ডানহাতি ব্যাটারের লড়াকু হাফসেঞ্চুরির পরও বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ৭৯.২ ওভারে মাত্র ২৫৫ রানে। এতে সিলেট টেস্টে জয়ের জন্য মাত্র ১৭৪ রানের লক্ষ্য পেয়েছে জিম্বাবুয়ে।

এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল ১৯১ রানে। জবাবে জিম্বাবুয়ে করে ২৭৩ রান।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হতে দেরি হয় বৃষ্টির কারণে । ৯টা ৪৫ মিনিটের খেলা শুরু হয় ১১টায়। বাংলাদেশ চার উইকেটে ১৯৪ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে।

বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দিনের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই আউট হয়ে যান । বুধবার একটি রানও যোগ করতে পারেননি তিনি। আগের দিনের ৬০ রান (১০৪ বলে) নিয়েই ফেরেন সাজঘরে। ব্লেসিং মুজারাবানির বলে ফাইন লেগ অঞ্চলে ভিক্টর নুয়াইসির হাতে ধরা পড়েন শান্ত।

দলীয় স্কোরবোর্ডে ১৬ রান যোগ হতেই উইকেট দিয়ে আসেন পরবর্তী ব্যাটার মেহেদী হাসান মিরাজও। ডানহাতি ব্যাটারকে আউট করে টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয় ফাইফার পূর্ণ করেন মুজারানি। ১৫ বলে ১১ রান করেন মিরাজ।

পরের ওভারেই আউট তাইজুল ইসলাম। তিন বলে মাত্র ১ রান করে ফেরত যান তিনি। ২১৩ রানে ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

অষ্টম উইকেটে হাসান মাহমুদকে নিয়ে ৩১ রানের জুটি করেন জাকের আলী। এই জুটি বাংলাদেশকে পৌঁছে দেয় ২৪৮ রানে। জাকের আলী ফিফটির করার পরই আউট হন হাসান মাহমুদ।

ইনিংসের ৭৮তম ওভারে ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে বাজে শট খেলে ডিপ মিডউইকেটে ব্লেসিং মুজারাবানির হাতে ক্যাচ হন হাসান। এরপর নতুন ব্যাটার খালেদ আহমেদ প্রথম বলেই আউট হন। ওয়েলিংটনের বলে স্লিপে ক্রেইগ আরবিনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।

এরপর মুজারাবানির বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে নিক ওয়েলচের হাতে ক্যাচ হন জাকের আলী। ১১১ বলে ৫৮ রান করেন ডানহাতি ব্যাটার। এতে বাংলাদেশ অলআউট হয় ২৫৫ রানে।