ঢাকা ০৫:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

ইয়েমেনে মার্কিন বিমান হামলায় ৩০ আফ্রিকান অভিবাসী নিহত 

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০২:২৮:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২৭৮ বার পড়া হয়েছে

মার্কিন বিমান হামলায় ইয়েমেনের সা’দা প্রদেশের একটি কারাগারে আটক ৩০ আফ্রিকান অভিবাসী নিহত হয়েছেন।

হুথি-নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ টিভি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হামলায় আরও ৫০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

নিহতরা মূলত ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ার নাগরিক, যারা সৌদি আরবে কাজের সন্ধানে ইয়েমেন হয়ে পাড়ি দেওয়ার সময় আটক হন।

স্থানীয় সময় রোববার রাতে সা’দার বদর কারাগারে এ হামলা চালানো হয়। হুথি সমর্থিত মিডিয়ার দাবি, কারাগারে ১১৫ জন বন্দী ছিল, যাদের মধ্যে নিহতদের বেশিরভাগই আফ্রিকান অভিবাসী।

হামলার পর উদ্ধারকারী দল আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। ইয়েমেনের সরকারি সংবাদ সংস্থা সাবা জানায়, ডজনখানেক হতাহতের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) হামলার সরাসরি দায় স্বীকার না করলেও একটি বিবৃতিতে বলে, “অপারেশনাল নিরাপত্তার কারণে আমরা আমাদের অভিযানের বিস্তারিত প্রকাশ করি না। আমরা লক্ষ্যবস্তু নির্বাচনে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করি।”* তবে হুথি নেতৃত্ব দাবি করেছে, এটি ইয়েমেনে মার্কিন “অবৈধ সামরিক উপস্থিতির” আরেকটি প্রমাণ।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে তদন্তের দাবি করেছে। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ইয়েমেন শাখা আহতদের চিকিৎসায় জরুরি সহায়তা দিচ্ছে।

জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) সতর্ক করেছে, ইয়েমেন হয়ে আফ্রিকা থেকে সৌদি আরবে যাওয়ার পথে প্রতিবছর হাজারো অভিবাসী নির্যাতন ও হামলার শিকার হন।

গত কয়েক মাসে ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে মার্কিন-ব্রিটিশ হামলা বেড়েছে। হুথিরা লোহিত সাগরে জাহাজ আটক ও ড্রোন হামলা চালালে পশ্চিমা দেশগুলো জবাবি অভিযান বাড়িয়েছে। তবে বেসামরিক স্থাপনা ও বন্দীদের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ হচ্ছে।

২০২৪ সাল থেকে ইয়েমেনে ৪ হাজারের বেশি আফ্রিকান অভিবাসী আটক রয়েছেন বলে আইওএমের তথ্য অনুযায়ী। তাদের অনেকেই মানবেতর অবস্থায় কারাগারে থাকাকালীন সহিংসতার শিকার হচ্ছেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ইয়েমেনে মার্কিন বিমান হামলায় ৩০ আফ্রিকান অভিবাসী নিহত 

আপডেট সময় ০২:২৮:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

মার্কিন বিমান হামলায় ইয়েমেনের সা’দা প্রদেশের একটি কারাগারে আটক ৩০ আফ্রিকান অভিবাসী নিহত হয়েছেন।

হুথি-নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ টিভি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হামলায় আরও ৫০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

নিহতরা মূলত ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ার নাগরিক, যারা সৌদি আরবে কাজের সন্ধানে ইয়েমেন হয়ে পাড়ি দেওয়ার সময় আটক হন।

স্থানীয় সময় রোববার রাতে সা’দার বদর কারাগারে এ হামলা চালানো হয়। হুথি সমর্থিত মিডিয়ার দাবি, কারাগারে ১১৫ জন বন্দী ছিল, যাদের মধ্যে নিহতদের বেশিরভাগই আফ্রিকান অভিবাসী।

হামলার পর উদ্ধারকারী দল আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। ইয়েমেনের সরকারি সংবাদ সংস্থা সাবা জানায়, ডজনখানেক হতাহতের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) হামলার সরাসরি দায় স্বীকার না করলেও একটি বিবৃতিতে বলে, “অপারেশনাল নিরাপত্তার কারণে আমরা আমাদের অভিযানের বিস্তারিত প্রকাশ করি না। আমরা লক্ষ্যবস্তু নির্বাচনে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করি।”* তবে হুথি নেতৃত্ব দাবি করেছে, এটি ইয়েমেনে মার্কিন “অবৈধ সামরিক উপস্থিতির” আরেকটি প্রমাণ।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে তদন্তের দাবি করেছে। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ইয়েমেন শাখা আহতদের চিকিৎসায় জরুরি সহায়তা দিচ্ছে।

জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) সতর্ক করেছে, ইয়েমেন হয়ে আফ্রিকা থেকে সৌদি আরবে যাওয়ার পথে প্রতিবছর হাজারো অভিবাসী নির্যাতন ও হামলার শিকার হন।

গত কয়েক মাসে ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে মার্কিন-ব্রিটিশ হামলা বেড়েছে। হুথিরা লোহিত সাগরে জাহাজ আটক ও ড্রোন হামলা চালালে পশ্চিমা দেশগুলো জবাবি অভিযান বাড়িয়েছে। তবে বেসামরিক স্থাপনা ও বন্দীদের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ হচ্ছে।

২০২৪ সাল থেকে ইয়েমেনে ৪ হাজারের বেশি আফ্রিকান অভিবাসী আটক রয়েছেন বলে আইওএমের তথ্য অনুযায়ী। তাদের অনেকেই মানবেতর অবস্থায় কারাগারে থাকাকালীন সহিংসতার শিকার হচ্ছেন।