দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই বড় ধাক্কা খেল জিম্বাবুয়ে

- আপডেট সময় ০৫:১২:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
- / ২ বার পড়া হয়েছে
প্রথম ইনিংসে ৪৪৪ রানের বিশাল সংগ্রহ তুলেছে বাংলাদেশ। ২১৭ রানের লিডও পেয়েছে টাইগাররা। এরপর তাইজুল ইসলাম দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামা জিম্বাবুয়ে শিবিরে শুরুতেই আঘাত হেনেছেন। জিম্বাবুয়ের ইনিংসের সপ্তম ওভারের প্রথম বলেই ওপেনার ব্রায়ান বেনেটকে সেকেন্ড স্লিপে সাদমান ইসলামের হাতের ক্যাচ বানান বাঁহাতি স্পিনার।
ওই ওভারের তৃতীয় বলে নতুন ব্যাটার নিকোলাস ওয়েলচকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তাইজুল। এতে দলীয় আট রানে দুই উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়েছে জিম্বাবুয়ে।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ আট ওভারের খেলা শেষে দুই উইকেটে ১০ রান। বেন কারেন ও শন উইলিয়ামস দু’জনই দুই রানে অপরাজিত।
এর আগে বাংলাদেশ অনেকদিন পর মনে রাখার মতো একটি ইনিংস খেললো। চট্টগ্রাম টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১২৯.২ ওভারে ৪৪৪ রানের বিশাল পুঁজি গড়েছে স্বাগতিকরা। টাইগাররা এই বিশাল রানের পাহাড় গড়েছে সাদমান ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজের সেঞ্চুরির ওপর ভর করে। এতে টাইগারদের লিড দাঁড়িয়েছে ২১৭ রানের।
বাংলাদেশের পাশাপাশি অভিষেক টেস্টেই ৫ উইকেট শিকার করে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন জিম্বাবুয়ের স্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকেসাও। এর আগে প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে অলআউট হয়েছিল ২২৭ রানে।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে বুধবার (৩০ এপ্রিল) সাত উইকেটে ২৯১ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু ২.৪ ওভার খেলা হতেই বৃষ্টি শুরু হয়। মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন ক্রিকেটাররা।
তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি এই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। ১৫-১৬ মিনিট বৃষ্টির হওয়ার পর ফের খেলা শুরু হয়েছে। বৃষ্টি থামার পর যথারীতি ব্যাটিংয়ে নামেন বাংলাদেশ দলের দুই অপরাজিত ব্যাটার মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম।
মিরাজ ও তাইজুল অষ্টম উইকেটে ৬৩ রানের জুটি করেন। জিম্বাবুয়ের অভিষিক্ত স্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকেসা টাইগারদের এই জুটি ভাঙেন। তাইজুলকে উইকেটরক্ষক তাফাদজওয়া সিগার হাতের ক্যাচ বানান তিনি। বাংলাদেশ ৩৪২ রানে ৮ উইকেট হারায়। তাইজুল ৪৫ বলে ২০ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
দিন যেদিন নিজের থাকে সেদিন নবম উইকেটেও জুটি হয়। তাই হলো। বাংলাদেশের। মিরাজ ও তানজিম হাসান সাকিবের ৯৬ রানের এই জুটিতে বড় সংগ্রহের আভাসই দিচ্ছিলো স্বাগতিকরা। যদিও ততক্ষণেই দলীয় সংগ্রহ ৪০০ পেরিয়ে গেছে।
তানজিম সাকিব ৮০ বলে ৪১ রানের দারুণ ও কার্যকর ইনিংস খেলে আউট হন। ওয়েসলি মাধভেরের বলে নিকোলাস ওয়েলচের হাতে ক্যাচ হন সাকিব।
তবে নতুন ও সর্বশেষ ব্যাটার হাসান মাহমুদকে নিয়ে খুব বেশি এগোতে পারেননি মিরাজ। তবে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা করে ফেলেছেন ঠিকই। মিরাজ যখন ৯৯ রানে অপরাজিত হাসান মাহমুদ তখন স্ট্রাইপ্রান্তে। তবে জিম্বাবুইয়ান স্পিনার মাসেকেসাকে কোনোমতে ঠেকিয়ে রাখেন হাসান। পরে স্ট্রাইকে গিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মিরাজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মিরাজ লাল বলের ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। সেই শতকটাও তিনি করেছিলেন এই চট্টগ্রামেই। চার বছর পর আজ বুধবার দ্বিতীয়বার তিন অংকের ম্যাজিক সংখ্যা স্পর্শ করেছেন মিরাজ। ভেন্যুও সেই একই চট্টগ্রাম।
মাসেকাসের বলে স্টাম্পড হওয়ার আগে ১৬২ বলে ১০৪ রান করে মিরাজ। জিম্বাবুইয়ান স্পিনারকে সামনে এসে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন টাইগার ব্যাটার। তবে ব্যাটে-বলে সংযোগ না ঘটায় বল চলে যায় উইকেটরক্ষক তাফাদজওয়া সিগার হাতে। মিরাজকে ফেরাতে বাকি কাজটা তিনিই সারেন।
হাসান মাহমুদ ১৬ বল খেলেও ০ রানে অপরাজিত থাকেন। এর আগে ওপেনার সাদমান ইসলাম ১২০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন।
ভিনসেন্ট মাসেকেসা জিম্বাবুয়ের হয়ে ১১৫ রানে পাঁচ উইকেট শিকার করেন। ব্লেসিং মুজারাবানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্রায়ান বেনেট ও ওয়েসলি মাধভেরে ১টি উইকেট নেন।