চ্যাটজিপিটি: ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি

- আপডেট সময় ১১:৩৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
- / ৫২ বার পড়া হয়েছে
এক সময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই শব্দটি শুনলেই কল্পবিজ্ঞানের কথা মনে পড়ত, কিন্তু এখন সেই ‘ভবিষ্যৎ’ আমাদের হাতের মুঠোয়। ২০২২ সালের নভেম্বরে ওপেনএআই চ্যাটজিপিটি চালু হওয়ার পর থেকে এটি দ্রুত বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে ভারতের মতো জনবহুল দেশে, যেখানে এআই প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ সত্যিই অবাক করার মতো।
ওপেনএআই-এর মুখ্য অপারেটিং অফিসার ব্র্যাড লাইটক্যাপ জানিয়েছেন, চ্যাটজিপিটি বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশে ব্যবহৃত হলেও, ভারত এখন সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল বাজার।
সম্প্রতি চ্যাটজিপিটিতে ‘স্টুডিও জিবলি’ স্টাইলের অ্যানিমেটেড ছবি তৈরির নতুন ফিচার যুক্ত হয়েছে, যা নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা সৃষ্টি করেছে। ব্যবহারকারীরা নিজেদের চেহারা বা পছন্দমতো চরিত্র এই স্টাইলে তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করছেন।
ব্র্যাড জানিয়েছেন, গত সপ্তাহেই ১৩০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী মিলে ৭০০ মিলিয়নেরও বেশি ছবি তৈরি করেছেন চ্যাটজিপিটি-র মাধ্যমে, যা ওপেনএআই-এর ইতিহাসে একটি অনন্য মাইলফলক।
ওপেনএআই-এর সিইও স্যাম অল্টম্যানও ভারতের প্রযুক্তিপ্রীতির প্রশংসা করেছেন এবং এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ভারত বিশ্বের বাজারকে ছাপিয়ে যাচ্ছে।
তিনি এমনকি একটি এআই জেনারেটেড ছবি শেয়ার করেছেন যেখানে তাঁকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সিতে দেখা যাচ্ছে। এটি কেবল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রসার নয়, বরং আবেগ এবং সাংস্কৃতিক সংযোগেরও প্রতীক।
বিশ্বে ডিজিটাল রূপান্তর দ্রুত ঘটছে, এবং ভারতের মতো তরুণ জনগোষ্ঠীসমৃদ্ধ দেশে এআই-এর প্রসার নতুন দিগন্তের সূচনা করছে।
শিক্ষায়, স্বাস্থ্যখাতে, কনটেন্ট ক্রিয়েশন থেকে শুরু করে কাস্টমার সার্ভিস পর্যন্ত চ্যাটজিপিটি এখন বহুমাত্রিক ভূমিকা পালন করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত যদি এই প্রযুক্তিকে আরও গভীরভাবে গ্রহণ করে, তবে আগামী দিনে এআই খাতে ভারতের অবদান হবে অপরিসীম।