ঢাকা ১০:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫

যুদ্ধে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ মানুষ: নচিকেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৬:১৮:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
  • / ২৭০ বার পড়া হয়েছে

নচিকেতা চক্রবর্তী ওপার বাংলার জীবনমুখী শিল্পী হিসেবে খ্যাত। তার সুরে উঠে এসেছে ফুটপাতের গল্প, সাধারণ মধ্যবিত্তের মানসিকতা। এসব প্রতিবাদী গান দিয়েই তিন দশক ধরে রাজত্ব করে যাচ্ছেন তিনি। শুধু তাই নয়, নচিকেতা চক্রবর্তীর গানে গানে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বানও ছিল। তার সেই গানের কথায় আশ্বস্তের শব্দগুলো ছিলো এমন- একদিন ঝড় থেমে যাবে, পৃথিবী আবার শান্ত হবে।

এদিকে কাশ্মিরে হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনা বেড়ে যায়। এরপর বুধবার মধ্যরাতে পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মিরের ৯টি স্থানে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। ভারতীয়রা যাকে বলছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। এতে সব মিলিয়ে দুই দেশেই ঘটেছে হতাহতের ঘটনা। আর এ সকল ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নচিকেতা চক্রবর্তী।

ভারতীয় গণমাধ্যমকে নচিকেতা বলেন, একটাই কারণে আমি যুদ্ধ নিয়ে আতঙ্কিত। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সাধারণ মানুষ। আপনি-আমি।

এই গায়ক বরাবর স্পষ্টবাদী। তার দাবি, সারা পৃথিবীতে যতো যুদ্ধ হয়েছে, যতো হিংসা ছড়িয়েছে সব কয়টি যুদ্ধের নেপথ্যে বাণিজ্যিক স্বার্থ রয়েছে। সব যুদ্ধ নাকি ‘স্পনসর’ করা! আমি প্রমাণ করে দেব।

গায়কের মতে, এগুলো যুদ্ধের হিড়িক। এক শ্রেণি এর থেকে লাভবান হচ্ছে। নচিকেতা নিজের কথাপ্রসঙ্গে উদাহরণ দিয়েছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের। তার কথায়, মনে রাখবেন, রকফেলারদের তেল প্রস্তুতকারী সংস্থা সেই সময় জার্মানি এবং ইতালি, দুই দেশকেই পেট্রোল সরবরাহ করেছিল। এই সরবরাহ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কিছু ঐতিহাসিক মনে করেন, এটি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল। কিছু ঐতিহাসিকের মতে, এটি শুধুই ব্যবসা।

আর প্রাচীন ইতিহাস থেকেই গায়কের উপলব্ধি, যুদ্ধ মানেই মুনাফার খেলা। কাদের মুনাফা, সেটা বুদ্ধিমানেরা সহজেই বুঝে যান।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুদ্ধে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ মানুষ: নচিকেতা

আপডেট সময় ০৬:১৮:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

নচিকেতা চক্রবর্তী ওপার বাংলার জীবনমুখী শিল্পী হিসেবে খ্যাত। তার সুরে উঠে এসেছে ফুটপাতের গল্প, সাধারণ মধ্যবিত্তের মানসিকতা। এসব প্রতিবাদী গান দিয়েই তিন দশক ধরে রাজত্ব করে যাচ্ছেন তিনি। শুধু তাই নয়, নচিকেতা চক্রবর্তীর গানে গানে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বানও ছিল। তার সেই গানের কথায় আশ্বস্তের শব্দগুলো ছিলো এমন- একদিন ঝড় থেমে যাবে, পৃথিবী আবার শান্ত হবে।

এদিকে কাশ্মিরে হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনা বেড়ে যায়। এরপর বুধবার মধ্যরাতে পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মিরের ৯টি স্থানে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। ভারতীয়রা যাকে বলছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। এতে সব মিলিয়ে দুই দেশেই ঘটেছে হতাহতের ঘটনা। আর এ সকল ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নচিকেতা চক্রবর্তী।

ভারতীয় গণমাধ্যমকে নচিকেতা বলেন, একটাই কারণে আমি যুদ্ধ নিয়ে আতঙ্কিত। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সাধারণ মানুষ। আপনি-আমি।

এই গায়ক বরাবর স্পষ্টবাদী। তার দাবি, সারা পৃথিবীতে যতো যুদ্ধ হয়েছে, যতো হিংসা ছড়িয়েছে সব কয়টি যুদ্ধের নেপথ্যে বাণিজ্যিক স্বার্থ রয়েছে। সব যুদ্ধ নাকি ‘স্পনসর’ করা! আমি প্রমাণ করে দেব।

গায়কের মতে, এগুলো যুদ্ধের হিড়িক। এক শ্রেণি এর থেকে লাভবান হচ্ছে। নচিকেতা নিজের কথাপ্রসঙ্গে উদাহরণ দিয়েছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের। তার কথায়, মনে রাখবেন, রকফেলারদের তেল প্রস্তুতকারী সংস্থা সেই সময় জার্মানি এবং ইতালি, দুই দেশকেই পেট্রোল সরবরাহ করেছিল। এই সরবরাহ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কিছু ঐতিহাসিক মনে করেন, এটি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল। কিছু ঐতিহাসিকের মতে, এটি শুধুই ব্যবসা।

আর প্রাচীন ইতিহাস থেকেই গায়কের উপলব্ধি, যুদ্ধ মানেই মুনাফার খেলা। কাদের মুনাফা, সেটা বুদ্ধিমানেরা সহজেই বুঝে যান।