ঢাকা ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

দাবি আদায়ে অনড় জবি শিক্ষার্থীরা, কাকরাইলে গণঅনশন শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৫:৩৪:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
  • / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে

ন্যায্য অধিকারের দাবিতে আজ ফের রাজপথে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অস্থিরতা ও দাবির প্রতি কর্তৃপক্ষের নীরবতার প্রতিবাদে শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মোড়ে গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন।

এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন শিক্ষক সমিতির মুখপাত্র ও ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মোর্শেদ ভূইঁয়া। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।

“আমরা যখন ক্যাম্পাস থেকে এসেছি, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে ফিরব না। এই মুহূর্ত থেকে আমাদের গণঅনশন শুরু হলো।”

একই সুর শোনা যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহতাব লিমনের কণ্ঠেও। জবি ঐক্যের পক্ষ থেকে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের আর পিছু হটার কোনো পথ নেই।

“আমাদের আন্দোলন এমন জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে, আমাদের আর পেছনে ফেরার জায়গা নেই। আমরা বিকেল সাড়ে তিনটায় অনশন কর্মসূচি শুরু করব। বিজয় না নিয়ে আমরা ফিরছি না।”

মূলত চার দফা দাবিতে এই গণঅনশন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মোড়ে এসে জড়ো হতে শুরু করেন। স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।

ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী এই সমাবেশে অংশ নিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের যৌক্তিক দাবি মানতে সরকারের গড়িমসি দেখা যাচ্ছে।

তারা আরও বলেন, এই দাবি আদায়ের আন্দোলনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এমনকি সাংবাদিকরাও আহত হয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে সংহতি জানাতে এগিয়ে এসেছেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও। বিভিন্ন অ্যালামনাই কমিটি ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা সমাবেশে পানি, কেক, কলাসহ শুকনো খাবার সরবরাহ করছেন। তাদের স্পষ্ট বার্তা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায্য দাবিতে তারা সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন এবং থাকবেন।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের সমাবেশে যোগ দিতে আজ সকাল থেকে প্রায় ৫০টি বাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কাকরাইলে এসেছেন বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের চাহিদানুযায়ী বাস সরবরাহ করা হচ্ছে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে ‘জবি ঐক্যের’ পক্ষ থেকে আজকের এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছউদ্দীন।

তিনি হুঁশিয়ারি দেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে। একইসাথে, গত ১৪ই মে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কালো দিবস পালনের ঘোষণা করা হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটডাউন করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

দাবি আদায়ে অনড় জবি শিক্ষার্থীরা, কাকরাইলে গণঅনশন শুরু

আপডেট সময় ০৫:৩৪:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

ন্যায্য অধিকারের দাবিতে আজ ফের রাজপথে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অস্থিরতা ও দাবির প্রতি কর্তৃপক্ষের নীরবতার প্রতিবাদে শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মোড়ে গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন।

এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন শিক্ষক সমিতির মুখপাত্র ও ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মোর্শেদ ভূইঁয়া। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।

“আমরা যখন ক্যাম্পাস থেকে এসেছি, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে ফিরব না। এই মুহূর্ত থেকে আমাদের গণঅনশন শুরু হলো।”

একই সুর শোনা যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহতাব লিমনের কণ্ঠেও। জবি ঐক্যের পক্ষ থেকে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের আর পিছু হটার কোনো পথ নেই।

“আমাদের আন্দোলন এমন জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে, আমাদের আর পেছনে ফেরার জায়গা নেই। আমরা বিকেল সাড়ে তিনটায় অনশন কর্মসূচি শুরু করব। বিজয় না নিয়ে আমরা ফিরছি না।”

মূলত চার দফা দাবিতে এই গণঅনশন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মোড়ে এসে জড়ো হতে শুরু করেন। স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।

ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী এই সমাবেশে অংশ নিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের যৌক্তিক দাবি মানতে সরকারের গড়িমসি দেখা যাচ্ছে।

তারা আরও বলেন, এই দাবি আদায়ের আন্দোলনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এমনকি সাংবাদিকরাও আহত হয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে সংহতি জানাতে এগিয়ে এসেছেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও। বিভিন্ন অ্যালামনাই কমিটি ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা সমাবেশে পানি, কেক, কলাসহ শুকনো খাবার সরবরাহ করছেন। তাদের স্পষ্ট বার্তা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায্য দাবিতে তারা সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন এবং থাকবেন।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের সমাবেশে যোগ দিতে আজ সকাল থেকে প্রায় ৫০টি বাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কাকরাইলে এসেছেন বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের চাহিদানুযায়ী বাস সরবরাহ করা হচ্ছে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে ‘জবি ঐক্যের’ পক্ষ থেকে আজকের এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছউদ্দীন।

তিনি হুঁশিয়ারি দেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে। একইসাথে, গত ১৪ই মে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কালো দিবস পালনের ঘোষণা করা হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটডাউন করা হয়েছে।